২৪ ঘন্টা লাইভ সংবাদদাতা / বিজপুর / ১৩ নভেম্বর: ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার পর বিজপুর বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় দলবল সহ চলে গীয়েছিলেন বিজেপিতে। তার সাথে প্রায় সমস্ত বিজপুরের নেতা এবং পৌরপ্রতিনীধীরা ও। পরবর্তী কালে অবশ্যই বেশিরভাগ লোকই সুুুুুবোধ অধিকারীর হাত ধরে ফিরে এসেছেন পুুুরোনো দলে, পুুুুনরুদ্ধার হোলো নিজেদের দখল হয়ে যাওয়া ক্লাব ও কার্যালয় গুলো।
প্রশ্ন হোলো এই পুনরূদ্ধার টি কেনো? দখল করে কি কোনো অন্যায় করেছিলো বিজেপি? এই প্রশ্নের উত্তর এখন হয় তো কেউ দিতে চাইবে না।
গতকাল ১২ই নভেম্বর দেখা গেলো কাঁচরাপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ১৬র পল্লী ক্লাব/কার্যালয় আরো একবার দখল হোলো তৃণমূলের দ্বারা। আমরা এটী পুনর্দখল ই বোলছি পুনরুদ্ধার না।
কারণ এই ক্লাব টি আসলে ছিলো কংগ্রেসের। ৩৪ বছর বাম আমলে ও এটি “কংগ্রেস ভবন” ই ছিলো। কিংতু তৃণমূল ক্ষষময় আসতেই বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের নেতৃৃৃত্বে একাধীক ক্লাব দখল করা হয়েছিলো।
আবার বিজেপিতে যাওয়ার সময় উনী সংগে করে নিয়ে গিয়েছিলেন এই কার্যালয় কে ও।
তবে সুবোধ অধীকারীর হাতে ক্ষমতা আসার পর দখল হয়ে যাওয়া অন্যান্য ক্লাব গুলো যে ভাবে পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছিলো, তাতে মানুষের মনে জেগে উঠেছিলো নতুন ধরণের প্রত্যাশা।
মনে করা হচ্ছিলো সুবোধ অধীকারী যেমন ভাবে নিজেদের দলের দখল হয়ে যাওয়া ক্লাব বা কার্যালয়ে দখল মুক্ত করছেন হয়তো তাই উনি অন্যায় ভাবে দখল হয়ে যাওয়া কংগ্রেস ভবন টি ও কংগ্রেস দল কে ফীরীয়ে দিয়ে রাজনৈতিক নজীর পেষ করবেন।
কারণ এটি কোনো ক্লাব নয়, ছিলো দলীয় কার্যালয়।
কিন্তু সেই প্রত্যাশা কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আরেকবার রাজনৈতিক অন্যায় দেখা গেল । কাল আবারও ওই কার্যালয় কে দখল করলো তৃণমূল কংগ্রেস। দেখা গেলো গতকাল রাজা সরকারের নেতৃত্বে দলবদ্ধভাবে তৃণমূল পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হল সেই ক্লাবে। কেনো এ ধরনের ঘটনা ? যদি তৃণমূল কংগ্রেস মনে করতেন , যে কোনো রাজনৈতিক কার্যালয় দখল করা উচিত নয় । তবে কেনো তারাই এবার এই পদক্ষেপ টি নিলেন? কেনো বিজপুরের বুকে এই ধরনের রাজনৈতিক ভুলকে শুধরে নেওয়া হলো না ? কেনো এই কার্যালয় কে কংগ্রেস দলকে ফিরিয়ে দেওয়া হল না ? কি বোঝাতে চাইছেন তারা যে ক্ষমতাটাই কি সবকিছু ? তাহলে যখন জার থাকবে বল, সেই করবে দখল?